Sunday, August 30, 2009

ভোটের নাটক আর বাঙালীর মুক্তির দূরাশা

বাঙালীর পিঠ দেয়ালে না ঠেকলে সে কিছুই করে না, চুপাচাপ আলসেমি উপভোগ করে। যখন ঠিক পাছার গোড়ায় হাগু এসে পরে, তখন শয়তান-নমরুদ যাকে পায় তার ছায়ার তলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কিন্তু এভাবে শেষ রক্ষা হবে কী? এইবার নাহয় বেকুব বাঙালী আওয়ামি লীগকে ভোট দিয়ে ঝামাতের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচিয়ে মহাউল্লাসে ফেটে পরল, তারপর? বাঙালীরা ঝামাতকে ‘না’ বলতে পারলেও ভবিষ্যতের আওয়ামীলীগ কি তা পারবে? অতীতে কি তা পেরেছিল?

বাঙালী তার অতীত বেকুবির শাস্তি হিসেবে আজকের শ্বাসরোধী অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী ঠেকাতে বিএনপি আর বিএনপি ঠেকাতে আওয়ামী। এই করে আর কত? চামে চামে ঝামাতের শিকড় লকলক করে বাড়ছে, বাড়তে বাড়তে এখন ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরে পৌঁছে গেছে; পুরোটা শুষে নেবে বলে সরব-নীরব হুমকী দিচ্ছে। বাঙালী আবারও ভাবছে কি করা যায়! বিএনপি একদিন আওয়ামীলীগকে ঠেকাতে ঝামাতের সাথে বউচি খেলতে গিয়েছিল। এখন ঝামাত তাকে ঠিক করে দেয় কার পরে কে চি দেবে। তারপরেও বিএনপি’র শিক্ষা হয়নি। আহারে শিক্ষার কোন শেষ নেই!

হে নির্বোধ বাঙালী জাতি, এরা কেউই তোমার বন্ধু না। তোমার আচরণ পাল্টাও, চরিত্র পাল্টাও, আসল পরিচয় খুঁজে বের কর – অটোমেটিক তোমার নেতা আর নীতি পেয়ে যাবে। এই ধূর্ত আর খল রাজনীতির বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতে আর কোন বিকল্প নেই।

No comments:

Post a Comment