Sunday, August 30, 2009

‘সন্ত্রাসী’ হওয়া ছাড়া তার আর কি গন্তব্য থাকতে পারে?

Gaza

“ত্বতীয় মিসাইলটিও এসে পরল। আগের দু’টির একটির আঘাতে আমার বড় ভাই মারা গেল। আর বাকীদের বেশীরভাগই আহত হয়েছিল – রক্তাক্ত হয়ে কাতরাচ্ছে এখানে ওখানে। মাত্র একদিন আগেই আমাদের ত্রিশজনকে এই বাড়িটিতে পাঠিয়েছিল ইসরায়েলিরা। আমার ভাইটি আমার চোখের সামনে রক্তক্ষরণে কাতরাতে কাতরাতে মারা গেল। আমি অযথাই ছুটাছুটি করে পানি খুঁজতে গেলাম।”

দমকে দমকে ওঠা কান্না সামলে ছেলেটি বলে চলল, “আমার আরেক ভাই, ইসমায়েলও মারা গেল রক্তক্ষরণে – আমারই চোখের সামনে। আমার মা ও ছোটভাই, তারাও মারা গেল একইভাবে – গোলার আগাতে আহত হয়ে রক্তক্ষরণে। চার ভাই আর মা এরাই ছিল প্বথিবীতে আমার আপনজন; তারা সবাই আজ মৃত। আল্লা তাঁদের আত্মার শান্তি দিন।”

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ১৬ বছরের ফিলিস্তিনী কিশোর আহমেদ সামুনী এভাবেই বর্ণনা করছিল ৫ই জানুয়ারীর ইসরায়েলি আক্রমণ। জাতিসংঘ বলছে, যায়তুন শহরের একটি বাড়ীতে জনা তিরিশেক ফিলিস্তিনিকে পাঠিয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলী সৈন্যরা। তারপর দিনই তাদের হত্যা করতে বাড়িটিতে তিনটি মিসাইল ছোড়ে তারা।

পিত্ব-মাত্ব-ভ্রাতা-ভগ্নীহীন হতভাগ্য আহমেদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কি করবে এই নির্মম দানব শহরে? ‘সন্ত্রাসী’ হওয়া ছাড়া তার আর কি গন্তব্য থাকতে পারে? পাঠকের কাছে প্রশ্ন রইল।

No comments:

Post a Comment